পানি ও লবণ - শরীরের ক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী দুটো বস্তু। কিন্তু কাঁচা লবণ বা সাদা লবণ বেশি পরিমাণে খেতে বারণ করে ডাক্তাররা। কারণ এতে ঝুঁকি থাকে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার। আবার শরীরে নুনের পরিমাণ কমে গেলে, সেখানেও অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এমন অবস্থা তাহলে কী করণীয়! সাধারণ নুনের বদলে বেছে নিন হিমালয়ান পিংক সল্ট।
হিমালায়ান পিংক সল্ট - এই লবণ কম পরিশোধিত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নেই। এটি একটি প্রাকৃতিক লবণ। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নগণ্য। এই লবণকে হিমালয়ান পিংক সল্টও বলা হয়। এই লবণ আপনার ত্বককে ভালো রাখতে এবং অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
হিমালয়ান পিংক সল্টে - চিনি, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালোরি, প্রোটিন এবং চর্বি থাকে না।
হিমালয়ান পিংক সল্টে রয়েছে - বিশুদ্ধ সোডিয়াম, পটাসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সালফেট, ফসফরাস, কপার, জিংক, সেলেনিয়াম, আয়োডিন এবং ফ্লোরাইডসহ প্রায় ৮০টির মত উপাদান থাকে।
হিমালয়ান পিংক সল্টের স্বাস্থ্য উপকারিতা - হিমালয়ান পিংক সল্ট এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যদি আপনার কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায় তবে আপনি হিমালয়ান পিংক সল্ট খেতে পারেন। আপনি সাধারণ লবণের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। -ওজন কমাতে হিমালয়ান পিংক সল্ট খাওয়া যেতে পারে। এর জন্য হালকা গরম জলে এই লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এটি খেলে ওজন দ্রুত কমে যায়। -হিমালয়ান পিংক সল্ট ও লেবু খেলে মেটাবলিক রেট ভালো থাকে। এটি পরিপাকতন্ত্রকেও সুস্থ রাখে। -এছাড়াও আপনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমালয়ান পিংক সল্ট খেতে পারেন। এটি রক্তচাপের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। -স্ট্রেস এবং বিষণ্নতা কমাতে হিমালয়ান পিংক সল্টও খাওয়া যেতে পারে। -হিমালয়ান পিংক সল্ট শরীরের ব্যথা এবং হাড়ের ব্যথার জন্যও উপকারী। -প্রতিদিন হিমালয়ান পিংক সল্ট খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। -অ্যাজমা এবং আর্থ্রাইটিস রোগীদের সাধারণ লবণের পরিবর্তে এই লবণ খাওয়া উচিত। এটি একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধের মতো কাজ করে। -এটি আপনার শরীরে জলের অভাব হতে দেয় না। এটি আপনাকে হাইড্রেটেড রাখে। -এটি আপনার শক্তি বাড়ায়। কারণ এই লবণে রয়েছে শক্তি বৃদ্ধিকারী খনিজ উপাদান। -এটি হার্টকেও সুস্থ রাখে। এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।